শৈশব স্মৃতি বা আত্মজীবনীমূলক কোনো রচনা সৎভাবে লেখা অনেক বেশি ভীতিকর, দুঃসাহসিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ 😁। কেননা এতে নিজের এবং কাহিনীর অন্যান্য চরিত্রের এমন কিছু বিষয় প্রকাশিত হয়ে পড়ে, যা নিজের অথবা অন্যের সম্মান/অসম্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের জীবনীতে অথবা স্মৃতিচারণায় তাদের লুকায়িত বিষয় প্রকাশিত হয়, যেমন তিনি লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন অথবা খেলাধুলায় রেকর্ড গড়ার সময় তার বয়স দু'বছর বেশি ছিল। এসব নিয়ে আবার অনেক বিতর্ক অনেক সমালোচনা হয়। সমালোচক শ্রেণি নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত বিশ্লেষণকে সিদ্ধান্ত হিসেবে হৃদয়ে ধারণ করে পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে সমালোচনা ও পারস্পরিক তর্ক-বিতর্ক কমতে থাকে এবং একসময় তা থেমেও যায়। তাদের অন্তরে গ্রথিত সিদ্ধান্তগুলো একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হয়তোবা নতুন কোনো বিষয়ের সমালোচনা ও তর্কবিতর্কের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত ধারণ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয় তাদের হৃদয়ে। নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত কল্পনাগুলোকে সত্য বলে ধারণ করার অভ্যাস যাদের থেকে যায়, তাদের হৃদয় সত্য খোঁজার আগ্রহ দেখাবে কেন?
এক সময় হয়তোবা লেখক বা গল্পকথককে বলতে বাধ্য করা হয় যে আগে যা লেখা হয়েছে বা বলা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। যেমনটি করা হয়েছে ইতিহাসের এক আকরগ্রন্থ ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে'র লেখককে। এতে করে আতে ঘা লাগা মানুষগুলো সাময়িক তৃপ্তি পেলেও তাদের অন্তরে লালিত সিদ্ধান্তগুলো নড়বড়ে হয়ে রয়ে যায়। এতকিছুর পরও লেখক বা গল্পকথকের কী যায় আসে! সত্যান্বেষী মানুষগুলোর যা জানার তা একসময় জানা হয়ে যায়।
এক সময় হয়তোবা লেখক বা গল্পকথককে বলতে বাধ্য করা হয় যে আগে যা লেখা হয়েছে বা বলা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। যেমনটি করা হয়েছে ইতিহাসের এক আকরগ্রন্থ ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে'র লেখককে। এতে করে আতে ঘা লাগা মানুষগুলো সাময়িক তৃপ্তি পেলেও তাদের অন্তরে লালিত সিদ্ধান্তগুলো নড়বড়ে হয়ে রয়ে যায়। এতকিছুর পরও লেখক বা গল্পকথকের কী যায় আসে! সত্যান্বেষী মানুষগুলোর যা জানার তা একসময় জানা হয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন