Islamul Haque
June 20, 2017
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র দায়িত্বশীলগণ তাহাদের কন্যাদিগকে পারিবারিকভাবে ইসলাম শিক্ষা দেন না, কার্যত যে শিক্ষা দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে এবং পরিবারকে পরিচালনা করিতে পারে। কারণ, তাহাদের মেধাবী কন্যাদিগের কুরআন, হাদিস, বিষয়ভিত্তিক ইসলামী বই/পুস্তক অধ্যয়ন করিবার সময় কোথায়! ক্লাসের পাঠ্যপুস্তক উত্তমরূপে অধ্যয়ন করিয়া ভাল ফল অর্জন করত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আসন দখল করিতে হইবে যে! তারপর সরকারি চাকুরে শ্মশ্রুহীন সুদর্শন পুরুষকে বিবাহ করিতে হইবে, হোউক সে ভিন্ন আদর্শের অথবা সুদখোর বা ঘুষখোর- শুধু নেশাখোর না হইলেই হইবে। পুত্র যত ভাল হোউক আর যতই উপার্জন করুক শুধু শ্মশ্রু/দাড়ি থাকিলেই কন্যার যত আপত্তি।
কিন্তু, একজনমাত্র দায়িত্বশীলকে দেখিয়াছি যিনি তাহার কন্যাকে পারিবারিকভাবে পূর্ণরূপে ইসলাম শিক্ষা দিয়াছেন। তাহার কন্যা শিক্ষা-বিভাগের সকল স্তরে বৃত্তি পাইয়াছে, যথারীতি সরকারি মেডিকেল কলেজেও অধ্যয়ন করিতেছে। কৈ, ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার কারণে তাহার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে কোনরূপ সমস্যা তো হইতে দেখা যায় নাই!!
এরূপ মনোবৃত্তি সাধারণ পরিবারের কন্যাদের মধ্যে সচরাচর পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র দায়িত্বশীলগণের কন্যাদিগের মধ্যে এরূপ মনোবৃত্তি প্রকট আকার ধারণ করিবার জন্য এই সকল দায়িত্বশীল পিতা-মাতা সম্পূর্ণরূপে দায়ী।
সুতরাং যে সকল দায়িত্বশীল দ্বারা নিজ পরিবারে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় না, তাহাদের দ্বারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা মানায় না, তাহা আবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাহা বাস্তব সম্মত নয়, শারীয়াহ্ সম্মতও নয়।
//আমার প্রশ্নে ইসলাম বিরোধীদের তৃপ্তি পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, গণতন্ত্রের জন্য এরদোগানের সমালোচনা করতে পারি কিন্তু মুশরিক কামাল পাশার পক্ষে যেতে পারি না। তদ্রূপ, গণতন্ত্রের জন্য ড. মুরসি'র সমালোচনা করতে পারি কিন্তু মুশরিক সিসি'র পক্ষাবলম্বন করতে পারি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন